শেরপুরের শ্রীবরদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশির রাম দায়ের আঘাতে খলিলুর রহমান (৪০) এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়ে শ্রীবরদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে দশটার দিকে আহত ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশে দোকানের সামনে। আহত ওই ব্যবসায়ী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের বলদিয়া পাড়া গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত খলিলুর রহমানের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম সুজা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
এলাকাবাসী ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, (১৮ জুন) মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশি আশরাফ আলীর ছেলে আরিফ (১৭) খলিলুর রহমানের দোকানের সামনে অন্য লোকের সাথে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় দোকানের সামনে খলিলুর রহমানের স্ত্রী ও কন্যা দোকানের সামনে বসা ছিলেন। মোবাইলে কথা শেষে খলিল আরিফকে ডেকে বলেন, এখানে আমি তুমার সম্পর্কে চাচা, তাছাড়া তুমার চাচি ও বোনের সামনে এমন অশ্লীল ভাষায় কথা বলাটা কি তুমার ঠিক হলো? একথা বলার সাথে সাথেই আরিফ খলিলের সাথে খারাপ আচরন করে। পরে খলিল তাকে সম্পর্কে ভাতিজা স্বরুপ আলতু করে একটা থাপ্পর দিয়ে যা করার করেছো এমন আচরন আর কখনো করবে না। একথা বলার পর আরিফ বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার বাবার সাথে বললে আরিফের পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে রাতেই লাঠি সোডা নিয়ে খলিলের বাড়িতে আক্রমনের চেষ্টা করে। এলাকার লোকজন ফিরফার করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পরদিন সকালে বুধবার (১৯ জুন) দোকানের সামনে খলিলকে একা পেয়ে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে একই গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৫২), আফছার আলী (৬০), রুস্তম আলী (৪৫) ও আফছার আলীর ছেলে আরিফ (১৭), রুস্তম আলীর ছেলে হিটলার (১৮), আফছার আলীর ছেলে শাকিব (১৫), ছাকবর আলী দুই ছেলে উকিল (৩৫) ও মোক্তার (৩২) রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে খলিলকে আক্রমণ করে রামদা দিয়ে মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং খলিলের দোকান ভাংচুর করে এবং দোকানে থাকা নগদ অর্থ লোটপাট করে চলে যায়। পরে খলিলের আত্মীয় স্বজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং একজনকে আটক করা হয়েছে।