গত আট সেপ্টেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেজাল গুড় কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল গুড় তৈরির উপাদান জব্দ করা হয়। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই দেখা যায় সেই পুরনো চিত্র। আবারও ভেজাল গুড় তৈরিতে ব্যতিব্যস্ত কারখানার শ্রমিকরা।
পরে রোববার (১০ অক্টোবর) বিকেলে সেই কারখানায় অভিযান চালায় প্রশাসন। অভিযানে কারখানার পরিচালক রুকুনুজ্জামানকে ১০দিন, কারখানার শ্রমিক রুকন আলীকে সাতদিন, কালা চাঁনকে সাতদিন ও শাহ আলমকে সাতদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের নির্দেশে ও শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তারের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রহমান।
জানা যায়, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চিনি, ময়দা, লালি, রঙ ও বিভিন্ন রাসায়নিক উপকরণ মিশিয়ে কাঁচা স্যাঁতস্যাঁতে মেঝেতে আখের গুড় তৈরি হচ্ছে। তবে আখের গুড় তৈরির মূল উপাদান আখের রসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া ড্রাম ও কন্টেইনারের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে রেখে দেওয়া লালি ব্যবহার করা হচ্ছে গুড় তৈরির ক্ষেত্রে, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রহমান বলেন, জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত আট সেপ্টেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই অভিযানে কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে গেলেও ভেজাল গুড় তৈরির নানা উপকরণ জব্দ ও গুড়গুলো কারখানার পাশের ডোবায় ফেলে ধ্বংস করা হয়। আর ১৫ বস্তা চিনি জব্দ করে স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়।