শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক মৎস্য প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমানের মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা রাতের আধারে পৌর শহরের তাতিহাটি পূর্ব এলাকায় নুর নবী নামে ওই মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে এ ঘটনা ঘটায়। এতে প্রায় ৫/৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মৎস্য প্রজেক্ট মালিক নুরনবী।
ওই মৎস্য প্রজেক্টের মালিক ও তাতিহাটি জালকাটা গ্রামের বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে নুর নবী (৩৫) জানান, তিনি প্রায় ৪/৫ বছর যাবত তাতিহাটি পূর্ব এলাকায় এক একর জমিতে তেলাপিয়া, রই, কাতল, মৃগেল, বাউশ ও দেশীয়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। এই মাছ চাষের আয় দিয়ে চলছে তার সংসার। কিছুদিন আগে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার মৎস্য প্রজেক্টে নেমে চুরি করে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি হাতে নাতে ধরেন। পরে সেখানে মাছ ধরবে না মর্মে তাদেরকে ছেড়ে দেন তিনি। এ বিষয়টি গ্রাম্য মাতাব্বদেরও জানিয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা তার মৎস্য প্রজেক্টের বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমানের মাছ নিধন করেছে। তিনি বলেন, এতে আমার প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নুর নবীর ছোট ভাই নাজমূল হোসাইন জানান, এখানে মাছ ও মাছের খাদ্যসহ প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হতো। এখন দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে তাদের বিপুল পরিমাণের মাছ নিধন করেছে। এতে তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। নুরনবীর বাবা আমির হামজা বলেন, আমরা কারো কোনো ক্ষতি করি নাই। মানুষ কেন আমাদের এতো বড় ক্ষতি করেছে?।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পৌরসভার কমিশনার আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, এ ব্যাপারে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের ঘটনায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যেসব দুর্বৃত্ত তাদের মাছ নিধন করেছে প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা মৎস্য অফিসার কৃষিবিদ সাইদুর রহমান বলেন, বিষ প্রয়োগের কারণেই এই প্রজেক্টের মাছ মারা গেছে।