শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের বালিয়াচন্ডি গ্রামে সারোয়ার হোসেন নামে ৬ মাস বয়সি এক শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। একই সাথে শিশুকে বিষ খাইয়ে বাড়ির সবাই হাসপাতালে চলে যাওয়ায় শিশুটির বাড়িতে ঢুকে নগদ টাকা ও প্রায় ১৬ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার লুটে নেয় দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় গত ৭ মে রাতে ওই শিশুটির মা সুমি বেগম শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের বালিয়াচন্ডি গ্রামের ছামিউল হকের আত্বীয় আব্দুর রহমানের মেয়ে রিয়া (১৯) পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে তার নিজ বাড়িতে এসে ছামিউলের ৬ মাস ১০ দিন বয়সের শিশু পুত্র সারোয়ার হোসাইনকে কোলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুর পাড়ে যায়। এসময় রিয়া সেখানে শিশু সারোয়ারের মুখে বিষ ঢেলে দিলে শিশুটি চিৎকার চেচামেচি ও বমি করতে থাকে। এমতাবস্তায় রিয়া শিশুটির মা সুমি বেগমের কাছে নিয়ে গিয়ে বলেন, সারোয়ার বমি করছে। এ কথা শুনে সুমি বেগম সারোয়ারকে কোলে নিলে তার মুখ দিয়ে বিষের গন্ধ পায়। এতে সুমি বেগমের ডাক চিৎকারের বাড়ির অন্যন্য আত্বীয়-স্বজন ছুটে আসে এবং সারোয়ারকে নিয়ে প্রথমে শ্রীবরদী ও পরে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর সারোয়ারের অবস্থা অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে শিশু সারোয়ারের বাড়ি’র লোকজন যখন তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটাছুটি করছে ঠিক সেসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রিয়া ও তার অন্যান্য অত্বিয়রা সুমি বেগমের ঘরে প্রবেশ করে ঘরে রাখা নগদ টাকা ও প্রায় ১৬ ভরি স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে যায়।
এদিকে শিশু সারোয়ার কিছুটা সুস্থ হলে ঘটানার ২ দিন পর সুমি বেগম বাড়ি ফিরলে দেখতে পায় তার ঘরের স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা নেই। প্রাথমিক ভাবে আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারে এ ঘটনার সাথে শিশুটিতে হত্যার চেষ্টার পরিকল্পনাকারী রিয়া ও তার আত্বীয় জড়িত।
পরে এ ব্যপারে ৭ মে সুমি বেগম বাদী হয়ে রিয়া ও তার মা-বাবা, ভাইসহ ৫ জনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা ও চুরি’র অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামীরা কেউ ধরা পরেনি।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী শ্রীবরদী থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে , প্রকৃত ঘটনা বের করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অন্যদিকে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি সত্যিই অমানবিক, শিশুটিকে যারা হত্যা করার চেষ্ঠা করেছে তাদের অব্যশয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে। এতে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা ।