সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিনামূল্যে দিনব্যাপী ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সামাজিক সংগঠন ‘মিঞাপাড়া সমাজকল্যাণ সংস্থা’র আয়োজনে উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের মিঞাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের কুড়িকাহনীয় মধ্যপাড়া, দক্ষিণপাড়া ও গড়পাড়া, খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়নের বীরবান্ধা ও পোড়াগড় এলাকার ৩শ জনের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা হয়। রক্তসৈনিক বাংলাদেশ, শ্রীবরদী উপজেলা শাখার সদস্যরা এ ক্যাম্পে কারিগরি সহযোগিতা করেন।
ওই ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইনে উদ্বোধনকালে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ, মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক মৌলভী মো. নুরুল ইসলাম, মিঞাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মোছা. নাজমা আক্তার, সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল হামিদ, মো. আব্দুল হাই, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. ইয়ারুল ইসলাম, মো. লাল মিয়া, মো. আব্দুল আজিম, মিঞাপাড়া সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাহ হোসেন সোহাগ, সদস্য মোছা. কাউসারুন্নাহার কাকলি, মো. রতন আহমেদ, মো. আব্দুল জলিল, মো. মোক্তার আলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রক্ত দেওয়া নিয়ে অনেকের মনে ভীতি ও ভ্রান্ত ধারণা আছে, বিশেষ করে গ্রামের মানুষের। তাই তাদের সচেতন করতে এ ধরনের ক্যাম্পেইন কাজে দেবে। তিনি বলেন, রক্ত দিলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। শরীর শুকিয়ে যায় না বা শক্তিও নিঃশেষ হয়ে যায় না। এই ধারণাগুলো আরো বেশি করে গ্রামীণ মানুষের কাছে পেীছে দেয়া দরকার। ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রম অব্যহত থাকবে এমনটাই আশা করি।
মিঞাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, দুর্ঘটনায় আহত, ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্ত, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব, থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের রক্তের ডোনার খুজে পাওয়া যায় না। তাই এই ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ ব্যাপারে মিঞাপাড়া সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সংস্থার পক্ষ থেকে সামাজিক কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এলাকায় যারা শিক্ষিত আছি, তাদের সামাজিক একটা দায়বদ্ধতা আছে। এই দায়বদ্ধতা থেকে গ্রামের মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য এ সংস্থাটি নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত করবে।