শেরপুরের শ্রীবরদীতে ধান খেত থেকে মো. জসিম (১৩) নামের এক বালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জসিম উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের হাসধরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে। সে হাসধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) সকালে হাসধরা গ্রামের একটি ধান খেত থেকে জসিমের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় জসিমের মা জবেদা বেগম জসিমকে বাজার থেকে একটি পান এনে দেওয়ার কথা বলেন। জসিম তার বড় ভাই রুবেল মিয়ার অটোভ্যানটি নিয়ে হাসধরা গ্রামের বাজারে যায়। এ সময় বিলভরট গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুদ ফুসলিয়ে জসিমকে হাসধরা গ্রামের একটি ধান খেতে নিয়ে জসিমের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়। পরে মাসুদ বুধবার রাতে অটোরভ্যানটি বিক্রি করার জন্য শ্রীবরদী পৌর শহরের উত্তর বাজারে যায়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা মাসুদকে আটক করে অটোভ্যানসহ শ্রীবরদী থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
এদিকে, দীর্ঘ সময় পরও শিশু জসিম বাজার থেকে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন ও স্বজনেরা বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে হাসধরা গ্রামের একটি ধান খেতে জসিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে শ্রীবরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
জসিমের মা জবেদা বেগম তার ছেলেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জসিমের গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।