শ্রীবরদী এম.এন.বি.পি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন নাহার তার আস্থাভাজন শিক্ষক মাহফুজুল হকের যোগসাজসে বিগত প্রায় ৮ বছর যাবত বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ২০১৫ সালের গ্রীষ্মকালিন ছুটি চলাকালিন সময়ে বিদ্যালয় ভবনের উত্তর পার্শ্বের লক্ষাধিক টাকা মুল্যের ৫টি মেহগনি গাছ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কেটে তা আতœসাত করেছেন। বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগার ও পাঠাগারসহ বিভিন্ন খাতের সরকারি বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার এবং দরপত্র দেখিয়ে উত্তোলন করে তা আতœসাত করেছে। তার বিরুদ্ধে ভূয়া শিক্ষার্থীর নামে উপবৃত্তির টাকা আতœসাতের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা , ময়মনসিংহ অঞ্চলের নিকট এলাকাবাসির পক্ষে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করলে তিনি জেলা শিক্ষা অফিসারকে সরেজমিনে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিসার অভিযোগটির সত্যতা পেলেও তার পেশার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ভূয়া শিক্ষার্থীদের নামে উত্তোলিত উপবৃত্তির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। অদ্যবদি প্রধান শিক্ষক উক্ত টাকা রাষ্ট্রিয় কোষাগারে জমা দেন নাই। বিদ্যালয়টি উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পাবলিক পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিবের দায়ীত্ব পালন করেন।
কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলে পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করে সহকারি শিক্ষক মাহফুজুল হক। উক্ত সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৪ সনের এস.এস.সি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় ও সে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা তাকে কালো তালিকাভূক্ত করে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য সকল প্রকার পাবলিক পরীক্ষায় দায়ীত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা উপেক্ষা করে ওই শিক্ষককে দিয়েই পাবলিক পরীক্ষায় বিভিন্ন দায়ীত্ব দিয়ে অপকর্ম করে আসছেন।
এছাড়া, ১ শিফটের বিদ্যালয়ে প্রতি শ্রেণিতে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক ভর্তি কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত না করে নিজ ইচ্ছায় সারা বছর সকল শ্রেণিতে ভর্তি করে আসছে যা ২০১৭ শিক্ষাবর্ষেও চলমান।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জীবন নাহারের সাথে কথা হলে, তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।