শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবরদীতে প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ বা ‘কালো ধান’ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চার উদ্যোক্তা। দেশের বাইরে থেকে এ ধানের বীজ সংগ্রহ করে লাগিয়েছিলেন তিন একর জায়গাজুড়ে। এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে সেই কালো ধান। তাদের আশা, কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এই বীজ জেলায় ছড়িয়ে দিতে। আর কৃষি বিভাগও জানিয়েছেন, শ্রীবরদী হতে এই বীজ পুরো জেলায় সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী।
জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার চককাউরিয়া গ্রামের ৪ বন্ধু মুক্তাদির আহম্মেদ নয়ন, স্বপন আহসান, নিশাত হাসান, শান্ত মিয়া এবং হাসধরা গ্রামের গোলাম রসুল চীন থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে ১৮ কেজি কালো ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। পরে তারা প্রথমবারের মতো ৫ একর জমিতে ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান লাগান। এতে সবকিছু মিলিয়ে আবাদে তাদের খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। এরই মধ্যে সুন্দরভাবে গুজিয়ে উঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে সেই কাল ধান। ফলে তাদের চোখে-মুখে এখন সফলতার স্বপ্ন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় প্রথমবারের মতো কালো ধানের আবাদ হয়েছে শ্রীবরদীতে। এ ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এ ধানগাছের পাতা ও কান্ডের রং সবুজ হলেও ধান ও চালের রং কালো। তাই এ ধানের জাতটি কালো চালের ধান নামে পরিচিত। ওষুধের গুণাগুণের জন্য ‘ব্ল্যাক রাইস’ চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। তাই এর দামও অন্য সব চালের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোতে এ চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন দিলদার বলেন, আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছি। এ ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ধান চাষ বাড়ালে কৃষক খুবই লাভবান হবে। কালো ধানগাছের উচ্চতা, পাতা, শীষ, ধান ও চাল সাধারণ ধানের মতোই তবে এর সবকিছুই কালো।
এ ব্যাপারে শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মুহিত কুমার দে বলেন, এরই মধ্যে আমরা ওই ৫ উদ্যোক্তার ধানখেত পরিদর্শন করেছি। খেতের ধান খুব ভালো হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, তাদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে জেলায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। এ জন্য কৃষি বিভাগ সব সময় তাদের পাশে থাকবে। তার মতে, এ ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এছাড়াও ওষুধের গুণাগুণের জন্য ‘ব্ল্যাক রাইস’ চালকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। তাই এর দামও অন্য সব চালের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্বের ধনী দেশগুলোতে এ চালের ব্যাপক চাহিদা।