শেরপুরের শ্রীবরদীতে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হারিয়াকোনা, বাবেলাকোনা, মণিকোনা ও চান্দাপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকার সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হারিয়াকোনা, বাবেলাকোনা, মণিকোনা ও চান্দাপাড়া গ্রামে ১ শত ৫০টি খুটির বিপরীতে প্রায় ২ শত ৫০ জন গ্রাহকের মাঝে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ সংযোগকে কেন্দ্র করে একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র গ্রামের সাধারন মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। এদের মধ্যে বাবেলাকোনা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দুলাল মিয়া, মেঘাদল বাজারের মুদি দোকানী নুর জামাল, ইউপি সদস্য আফুজল হক ওস্তাদ, হারিয়াকোনা গ্রামের মিঠুনসহ ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। এরা দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে গ্রামের নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে ধাপে ধাপে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭ হাজার ২ শত টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে।
এতেকরে গ্রামের লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হারিাকোনা, বাবেলাকোনা ও চান্দাপাড়া গ্রামের অনেকেই জানান, দুলাল, নুর জামাল ও ওস্তাদ মেম্বারসহ একটি দালালচক্র আমাদের বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে এ এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এনিয়ে ইউপি সদস্য আফুজল হক ওস্তাদ বলেন দুলাল মাস্টার ও নুর জামাল বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার প্রতি ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার ২ শত টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। দুলাল মাস্টার ও নুর জামালের সাথে কথা হলে তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার আলমগীর ও জয়নাল বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমরা এলাকাবাসির সুবিধার্তে ঠিকাদারের লেবারদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য টাকা উঠিয়েছি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রীবরদী শাখার সাব-ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাশিদ জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিনা খরচে বিদ্যুৎ লাইনের যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। প্রতি গ্রাহহের নিকট শুধু মাত্র ৫ শত ৭৫ টাকা জামানত হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। বাড়তি টাকা নেওয়ার কোন প্রকার সুযোগ নাই। এলাকার কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা দিয়ে থাকে তবে তারা দালালদের খপ্পরে পরে এ কাজ করেছে।