শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ বিল্লাল হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিষেধাজ্ঞা সত্তেও রোববার (৭ এপ্রিল) ওই ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডির চাল বিতরণসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, তাতিহাটি ইউপি চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ বিল্লাল ঝিনাইগাতী আদর্শ মহা বিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে চাকরি করে আসছেন। ২০১৮ সালের ১২ আগষ্ট ওই মহা বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়। অপরদিকে তাতিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করায় ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর তাকে স্থানীয় সরকার ( ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এ ২৬ (২ /(ঙ) অনুযায়ী একই সাথে দুটি পদে বহাল থেকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই মর্মে অবহিত করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
গত ২ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) এ.টি.এম জিয়াউল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ঝিনাইগাতী আদর্শ মহাবিদ্যালয় জাতীয়করণ করায় তার বিরুদ্ধে একই চিঠি প্রেরণ করেন। দীর্ঘদিনে তিনি স্ব-উদ্যোগে দায়ীত্ব পালন থেকে সরে না যাওয়ায় মো: উসমান গণি সাজু নামে এক ব্যাক্তি বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিট গত ১৯ নভেম্বর আসাদউল্লাহ বিল্লাল কোন ক্ষমতাবলে সরকারের দুটি লাভজনক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইউপি সদস্য মিজার উদ্দিন হাইকোর্টে আসাদ উল্লাহ বিল্লালের চেয়ারম্যান পদে থাকার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এরপর ২৫ মার্চ ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞার জারি হয়। সম্প্রতি ওই আবেদনের শুনানী নিয়ে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরও তিনি রবিবার তার নামে ভিজিডির চাল উত্তোলন করে বিতরণ করেন। এ সময় বেশিরভাগ ইউপি সদস্য অনুপস্থিত ছিল।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মিজার উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তিনি ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি চাল বিতরণসহ নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ বিল্লাল এ প্রতিনিধিকে জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কাগজ আমি এখনও পাইনি। কাগজ হাতে পেলে দায়িত্ব থেকে সরে যাবো।