শেরপুরের শ্রীবরদীতে ছয় ডাকাত আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাতিহাটি আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন শ্রীবরদী-ভায়াডাঙ্গা রোডে ব্রীজের উপর। আটককৃতরা হলো- উপজেলার মামদামারী গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে হানিফ (২৩), ইন্তাজ আলীর ছেলে বেলাল (২২), আব্দুল হাইয়ের ছেলে আঃ রশিদ (২২), উকিল মিয়ার ছেলে ফিরোজ (২১) নুর হোসেনের ছেলে দেলোয়ার (২০) ও ঝালোপাড়া গ্রামের রফিকুলের ছেলে হৃদয় (২০)। আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উত্তর বাজারের সুরুজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সুরুজ আলী রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে দোকান বন্ধ করে দোকানের ক্যাশ নিয়ে পাশের দোকানী লাবলু মিয়ার সাথে বাড়ির উদ্দেশ্যে হেঁটে রওনা দেয়। পথিমধ্যে তাতিহাটি আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন শ্রীবরদী-ভায়াডাঙ্গা রোডের ব্রীজের উপর পৌঁছলে ছয় ডাকাত তাদের আক্রমণ করে। এসময় ডাকাতদল মারপিট করে সুরুজ আলীর কাছে থাকা ৫ লক্ষাধিক টাকাসহ একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। পরে সুরুজ আলী মোবাইল ফোনে বিষয়টি আশে পাশের লোকজনকে খবর দিলে এলাকাবাসী চারদিক থেকে ডাকাতদের ঘিরে ফেলে।
এসময় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে আটাকান্দা গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে ফকির আলী (২৫) গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ধানক্ষেত থেকে তিন জনকে আটক করে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অপর ৩ জনকে আটক করে। এসময় রক্তমাখা একটি ছুরি ও কিছু টাকাসহ ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রীবরদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম জানান, ডাকাতির খবর পেয়ে আমি এলাকাবাসীদের নিয়ে ৩ ডাকাত আটক করে থানায় খবর দেই। এসময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে ফকির আলী (২৫) গুরুতর আহত হয়।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রবিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে একটি ডাকাতি মামলার প্রস্তুতি চলছে।