শেরপুরের শ্রীবরদীতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনজন নিহতের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হয় আরও তিনজন। রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মিন্টুকে তার শ্বশুরবাড়ির পটল গ্রাম থেকে শুক্রবার (২৪ জুন) ভোর ৫টায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মিন্টু তার শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি আম গাছের ওপর উঠে লুকিয়ে ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পটল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মিন্টু মিয়ার বাড়ি একই উপজেলার তাঁতীহাটি ইউনিয়নের গ্যাড়ামারা গ্রামে।
নিহতরা হচ্ছেন—স্ত্রী মনিরা বেগম (৩৫), শাশুড়ি শেফালি বেগম (৫৫) ও জ্যাঠাশ্বশুর নূর মোহম্মদ ওরফে মাহমুদ হাজী (৭৫)।
এছাড়া আহতরা হচ্ছেন—বাচ্চুনি বেগম, মনু মিয়া ও শাহাদাত হোসেন।
শেরপুরের শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী ও পরিবারের বরাতে ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানায়, কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুটল গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরার সাথে পার্শ্ববর্তী গেরামারা গ্রামের হাই উদ্দিনের ছেলে মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয় ১৭ বছর আগে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ের সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি দাম্পত্য কলহের জের ধরে মিন্টু বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বোরকা পড়ে দা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে হামলা করে। দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী মনিরা বেগমকে।
এ সময় বাধা দিতে গেলে শাশুড়ি শেফালী খাতুন, জ্যাঠা শ্বশুর মাহামুদ ও শ্যালক শাহাদৎকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বকশিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত শেফালী বেগম ও মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি বলেন, আমরা সারারাত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাই অবশেষে পুটল গ্রাম থেকে মিন্টুকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ব্যবহৃত দা ও একটি চাকুসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন নিহতের বোন মিনারা বেগম।
তিনি আরও বলেন, তিনজনের মধ্যে একজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছে। আর দুইজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে।