শেরপুর-লঙ্গরপাড়া-শ্রীবরদী সড়ক প্রশস্থকরণ ও মজবুতীকরণ প্রকল্পে সড়ক ও ব্রীজ নির্মাণে অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত জমি সমূহের ক্ষতিপূরণ পরিশোধের পূর্বেই রাতের আঁধারে জমি ভরাট ও খননের প্রতিবাদে এবং জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবীতে শ্রীবরদীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মলিক ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের অংশগ্রহণে লংগরপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন জমির উপর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আলী আকবর, আব্দুস ছাত্তার, জহুরুল, ছালাম উদ্দিন, লিপি কোহিনুর সহ অনেকেই বলেন, সরকার জমি চাইলে আমরা জমি দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদেরকে জমির ন্যায্য মূল্য পরিশোধ না করেই রাতের আঁধারে ঠিকাদারের লোকজন বে-আইনিভাবে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। আমাদের দাবী জমির সঠিক পরিমাপ করে মূল্য পরিশোধপূর্বক রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণ করা হোক। মাসুদা বেগম বলেন, ২৫ শতাংশ জমির উপর আমার বাড়ি। আর কোন জায়গা জমি নেই। সরকার জমির মূল্য না দিয়ে বাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে রাস্তা তৈরি করলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?
জমির মালিকানা সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সাত্তারের ১ একর, আলী আকবর, আফছার আলী, নশকর, আব্দুল্লাহ গংদের ৫৫ শতাংশ, জহুরুল মিয়ার ১০ শতাংশ, হাসেমের ১৫ শতাংশ, হাতেমের ১০ শতাংশ, আহেদ আলী’র ১৫ শতাংশ, আতাউর রহমানের ১৯ শতাংশ, আব্দুল হাকিম, জোসনা বেগম, নূরল আমিন, মমিন গংদের ৫৫ শতাংশ, লিপি কোহিনূরের ১০ শতাংশ, মোজাম্মেলের ৬ শতাংশ, রবিনের ১১০ শতাংশ, রেজাউল করিমের ৪৫ শতাংশ, মাসুদা বেগমের ২৫ শতাংশ বসত ভিটাসহ বেশ কয়েকজনের জমি রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারী ২০২০ইং তারিখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স, তাহের ব্রাদার্স, বাছেদ প্রকৌশলী যৌথ ভাবে ২২ কোটি ৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৪৯ টাকা নির্মাণ ব্যায়ে ২টি ব্রীজ ও নতুন রাস্তার কাজ শুরু করে। কিন্তু অদ্যবদি ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য পরিশোধ করা হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস ছাত্তার বলেন, জমির মূল্য পরিশোধের বিষয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতাভূক্ত নয়। আমরা আশাকরি সংশ্লিষ্ট দফতর অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের জমির মূল্য দ্রæত পরিশোধ করবে।
শেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মো. শরিফুল আলম বলেন, ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের টাকা জেলা প্রশাসক দফতরে হস্তান্তর করা হয়েছে। জমির অধিগ্রহণে ৭ ধারা সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দ্রæতই এ সমস্যার সমাধান হবে। এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।