শেরপুরের শ্রীবরদীতে রহিমা খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার রানিশিমুল ইউনিয়নের বালিজুরি পাহাড় এলাকা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রহিমা বালিজুরি অফিস পাড়া গ্রামের আহাম্ম আলী মুন্সির মেয়ে। তিন সন্তানের জননী রহিমার স্বামীর মৃত্যু হয় দুই বছব পুর্বে। পরবর্তীতে গত দুই মাস পুর্বে পার্শ্ববর্তী রাঙ্গাজান গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের সাথে দ্বিতীয় বিবাহ হয়। তোফাজ্জল হোসেনের আগের স্ত্রী ও পুত্র রয়েছে। তাই রহিমাকে নিয়ে তোফাজ্জল হোসেন ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করে। গত দুই দিন আগে রহিমাকে নিয়ে তোফাজ্জল হোসেন বাড়িতে আসে। শনিবার সকালে বালিজুরি পাহাড়ে গাছের সাথে ঝুলন্ত মরদেহের সন্ধান পায় স্থানীয়রা। তবে গাছের সাথে ঝুলন্ত রহিমার মরদেহ হাটু গেড়ে বসে ছিলো বলে গ্রামবাসীরা জানায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রহিমার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে রহিমার স্বামী তোফাজ্জল হোসেন গা ঢাকা দিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।