
শেরপুরের শ্রীবরদীতে কাঠবোঝাই ট্রলিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে যায় যাত্রীবাহী বাস। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের কুরুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শ্রীবরদী উপজেলার বড়পোড়াগড় এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে ট্রলির চালকের সহকারী হামিদুর রহমান ও পার্শ্ববর্তী জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে গোলাম ফারুক লিটন। এছাড়া দুর্ঘটনায় বড়পোড়াগড় এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে ট্রলির চালক রমজান আলীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে মামনি পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস বকশিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। পথে কাঠবোঝাই ট্রলিকে ধাক্কা দিয়ে পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই ট্রলির সহকারী হামিদুর রহমান মারা যান। এতে আহত হন ট্রলির চালক ও বাসের যাত্রীসহ অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে গোলাম ফারুক লিটনকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরে পরিবারের লোকজন তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে, বাসটিতে চালক ঘুমিয়ে ছিলেন। বাসের সহকারী বাসটি চালিয়ে আসছিল।