মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচিনাচি-দাঁড়াও না একবার ভাই/ ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময়তো নাই। নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের কবিতায় উল্লেখিত এই প্রাকৃতিক মৌমাছির সন্ধান পাওয়া গেছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীবরদীর পাহাড়ি গ্রাম কর্ণঝোড়া গ্রামে। ওই গ্রামের সড়কের পাশে প্রায় দুইশ ফুট উঁচু একটি চাপাকাঁঠাল গাছে হাজারো মৌচাক দেখা গেছে।
স্থানীয় সেকান্দার আলী বলেন, গাছটির শতাধিক শাখা প্রশাখা জুড়ে রয়েছে ছোট বড় আকারের হাজারো মৌচাক। শ্রমিক মৌমাছিরা বুনো ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে চাকে এনে জমা করছে। তাই চাক ঘিরে আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে লাখ লাখ মৌমাছি। আর পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে মৌমাছি উড়ে চলার ভোঁ ভোঁ শব্দ।
আব্দুর রশীদ নামে একজন জানান, শুধু এ বছরই না বিগত কয়েক বছর যাবৎ এ গাছে মৌমাছি বাসা বাঁধে। কিন্তু আগের সব রেকর্ড ভেঙে এ বছর প্রায় দুই হাজার মৌচাক দেখা গেছে ওই গাছে। এই মৌচাকগুলো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ভীর জমাচ্ছেন। কিছু কিছু সময় দুষ্টু মৌমাছির দল পথচারীদের শরীরে হুল ফুটিয়ে দেয়। এ কারণে কেউ কেউ ওই গাছটি কেটে ফেলার চেষ্টা করলেও বিফল হন।
ওই গ্রামের খন্দকার তারেক জানান, জনশ্রুতি রয়েছে গাছটি কাটতে গেলে মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসে, তাই ভয়ে কেউ মধু সংগ্রহ করতে গাছেও উঠতে চাননা।
ওই চাপাকাঁঠাল গাছের পাশেই বাসকারি এক পরিবারের সদস্য আবু তাহের বলেন, সাহসী লোকেরা রাতের আধারে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে ৮/১০মণ করে মধু পেরে আনেন। বাংলা কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাসা বাঁধা এই মৌমাছির দল থাকবে মাঘ মাস পর্যন্ত।
অন্যদিকে মধু চুরি হয়ে যাওয়ায় বন বিভাগ তা সংরক্ষণ করতে পারেনা বলে জানিয়েছেন শ্রীবরদীর বালিজুড়ি রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আমিনুল হক।