শেরপুরের শ্রীবরদীর রানীশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীবরদী ভায়াডাঙ্গা সড়কের দড়িপাড়া ব্রীজের উপর। এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা শ্রীবরদী থেকে নিজ বাড়ি ভায়াডাঙ্গার দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে শ্রীবরদী ভায়াডাঙ্গা সড়কের দড়িপাড়া ব্রীজের উপর পৌঁছা মাত্র ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় চেয়ারম্যানকে মারধর করে এবং সাথে থাকা দেড় লক্ষ টাকা ও তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় শ্রীবরদী পৌর শহরের আবুল হোসেনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক মিষ্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কি হয়েছে জিঙ্গাসা করলে তাকেও ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে বলে এনিয়ে মামলা করলে তুকে খুন করে লাশ গুম করবো । পরে তারা চলে গেলে চেয়ারম্যান মিষ্টারের মোটরসাইকেলের পিছনে ওঠে বাড়িতে চলে আসে। এ ঘটনায় মাসুদ রানা বাদী হয়ে ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেনের সাথে আমার দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে ঘটনার দিন রাতে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে সে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং মারপিট করে দেড় লক্ষ টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা করেছি। থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বন্দে আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।