রোববার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাওয়া আঙুলের চোটে নুরুল হাসান সোহানের এবারের মতো জিম্বাবুয়ে সফর শেষ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, সোহানের অনুপস্থিতিতে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করবেন কে?
তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। অনেকেই লিটন দাসের কথা বলছেন। ভাবা হচ্ছে লিটনই হতে পারেন সম্ভাব্য ও সেরা বিকল্প। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নামও শোনা যাচ্ছে কারও কারও মুখে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু একটা আভাস দিয়েছেন।
জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে নান্নু বলেন, শেষ ম্যাচের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মনোনয়ন করবে ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ভাই (জালাল ইউনুস) তা ঘোষণা করবেন।
তাহলে সেখানে কি নির্বাচকদের কোন ভূমিকা থাকে না? প্রধান নির্বাচকের জবাব, ‘অবশ্যই থাকে। নির্বাচকদের মতামত নেওয়া হয়। আমরা আমাদের পছন্দর কথা জানাই। ক্রিকেট অপস ও বোর্ড নীতি নির্ধারণী মহলের তা পছন্দ হলে তারা সেটা গ্রহণ করেন।’
এক্ষেত্রে নুরুল হাসান সোহানের বিকল্প হিসেবে আপনারা কাকে ভাবছেন?- জানতে চাইলে নান্নুর জবাব, ‘লিটন হতে পারে। সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে তাকেই চোখে পড়ছে। তবে সিদ্ধান্তটা নেবে বোর্ড। আর ঘোষণা দেবেন জালাল ভাই।’
এদিকে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসের কথা শুনে মনে হচ্ছে লিটন দাসই সোহানের সম্ভাব্য বিকল্প। সোমবার সকালে জাগো নিউজের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপে জালাল জানিয়েছেন, ‘বিসিবির তো একটি মতামত থাকবেই। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট কী চাচ্ছে সেটাও বিশেষ বিবেচনায় থাকবে। আমরা কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবো কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়।’
জালাল যোগ করেন, ‘একটি মাত্র ম্যাচের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মনোনয়ন করা তো খুব বড় কোনো ব্যাপার না। তবে ম্যাচটি এখন সিরিজ নির্ধারণী খেলা হয়ে গেছে। খুব ক্রশিয়াল ম্যাচ হয়ে গেছে। তাই ভেবেচিন্তেই অধিনায়ক ঠিক করবো। তবে লিটন দাসের সম্ভাবনাই বেশি। সব বিচার বিবেচনায় লিটনই হয়তো কালকের ম্যাচের ক্যাপ্টেন।’
উল্লেখ্য, গতবছর নিউজিল্যান্ড সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনজুরিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। এবারও লিটনের কাঁধে চাপতে পারে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।