রাত পোহালেই খুশির ঈদ। শেষ মুহূর্তে বিপণিবিতানে নতুন জামাকাপড়ের পাশাপাশি ভিড় বেড়েছে সুরমা, আতর, টুপি, তসবিহ আর জায়নামাজের দোকানে। ঈদ উপলক্ষে শেরপুরেরর তেরাবাজার, নয়ানী বাজার, মুন্সির বাজার, গোয়ালপট্টি, বটতলা মোড়, কলেজ মোড়, টাউল হল ও নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকানে দোকানে নানা ডিজাইনের টুপি, জায়নামাজ সারি সারি সাজানো। পাশাপাশি সাজিয়ে রাখা হয়েছে পাথরের তসবিহ এবং বিভিন্ন সুগন্ধির আতর। আতর-টুপির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের বেশ আনাগোনা। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ ছোট ছোট দোকানে একের পর এক সাজানো হরেক রকমের টুপি।
তেরাবাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ইরান, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তানের তৈরি টুপি। এছাড়া পাকিস্তানের পাথরি, কাটা, সিন্ধি, হাজি ও রোমিথ টুপি খুঁজছেন অনেকেই। সাধারণ টুপি ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা আর হাতের নকশা করা গোল টুপি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাহারি ডিজাইনের টুপি ২০০ টাকা ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এবার আতরে রয়েছে ক্রেতাদের খুব তোরজোর। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আতরের মধ্যে প্রতি তোলা অ্যাঞ্জেল ও জমজম আতর ২৫০ টাকা থেকে৫৫০ টাকা, জান্নাতুল ফেরদৌস, জেসমিন, রোজ ও দিলরুবা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, এরাবিয়ান বেলি ১২০০টাকা থেকে১৫০০ টাকা, ভারতীয় বেলি ৫০০টাকা থেকে ৭০০ টাকা, ব্লু লেডি, ব্লু ফোরম্যান ৭০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দেশি আতর হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, বেলি ও নাইট ফ্লাওয়ার ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, জৈতন ও নিমের মেসওয়াক ১০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আতর কিনতে আসা চরশেরপুরের আহসানুল কবীর জানান, পাঞ্জাবি পায়জামা কিনেছি আগেই। আজ হাসনাহেনা আতর আর সুরমা কিনলাম। তবে আতর-টুপির দাম বেড়েছে।
তেরাবাজার বাজার ক্যাপ হাউজের দোকানি জানান, আতর-সুরমা, টুপি, জায়নামাজ, তসবিহ বিক্রি হচ্ছে। তবে গতকাল থেকে তুলনামূলক বেশি ক্রেতাসমাগম হচ্ছে।
এছাড়াও শহরের নয়ানী বাজার, মুন্সির বাজার, গোয়ালপট্টি, বটতলা মোড়, কলেজ মোড়, টাউল হল ও নিউমার্কেটে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ আতর টুপির দোকান বসেছে। সেখানেও বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ঈদে নিরাপত্তার জন্য পোশাকধারী পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত কাজ করছে।