চলছে ঈদের শেষ মুহূর্তের প্রস্ততি। ক’দিন পরে ঈদ। এর মধ্যে জমে উঠেছে শেরপুরের ঈদ বাজার। নতুন পোশাক প্রস্তুতের জন্য যেতে হয় দর্জি বাড়ি। তাই ব্যস্ততা কমতি নেই দর্জি বাড়িতেও। দম ফেলার সময় পাচ্ছে না কারিগররা।
প্রতিবছরের ন্যায় রমজানের শুরু থেকেই শহরের গোয়ালপট্টি, বুলবুল সড়ক, নয়ানী বাজার, তেরাবাজারে বেড়েছে ক্রেতার সমাগম। পছন্দের পোশাকের জন্য কাপড় কিনে মানুষ ছুটছেন দর্জি বাড়িতে।
ভিড় এড়াতে অনেকেই আগেভাগেই দিয়েছেন নিজের পছন্দের পোশাক তৈরীর অর্ডার। তাদের অর্ডার অনুযায়ী পোশাক সরবরাহে সমান তালে কাজ করছেন কারিগররা। ইতোমধ্যে নতুন কাজের অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন টেইলার্স মালিকেরা। রাত জেগে সারছেন অর্ডারের কাজ। বেশ রাত পর্যন্ত কাজ করছেন কারিগররা।
নিউমার্কেট টেইলার্সের মালিকরা বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার কাজ একটু বেশি। আমরা কাজের অর্ডার অনেক পেয়েছি। এবারের ঈদ গরম আর বৃষ্টির সময় হওয়ায় রেডিমেট কাপড়ের চেয়ে হাতে তৈরী কাপড়ে আগ্রহ বেশি।
তৈরী কাপড় ডেলিভারী নিতে আসা উম্মে কুলসুম জানান, ঈদের কেনাকাটা করছি এখন। কিন্তু ভীড়ের ভয়ে রোজার শুরুতেই জামা তৈরীর জন্য টেইলার্সে দিয়েছিলাম। আজ নিতে এসেছি।
টেইলার্স মালিকরা শেরপুর টাইমসকে বলেন, ছেলে ও পুরুষের চেয়ে তরুণী ও মহিলারা ভিন্ন ধরনের কাজ দিয়েছেন। কাজের চাপে নতুন কারিগর নিয়োগ দিতে হয়েছে। বিদ্যুৎবিভ্রাট না থাকলে সঠিক সময়ে সব কাজ ডেলিভারী দিতে পারবো।