নাইম ইসলাম: শেরপুরের পশুর হাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। সোমবার সকাল থেকেই হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়। তবে দাম বেশি হওয়ায় বেচাকেনা একটু কম। অনেক ব্যবসায়ী কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় গরু বিক্রি করেননি।
শহরের গরুর হাট কুসুমহাটি ও নৌহাটা ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় জাতের পর্যাপ্ত গরু নিয়ে এসেছেন পাইকার, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। উঠেছে মহিষও । দামও বেশ সহনীয় বলে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। তবে কাঙ্ক্ষিত লাভ না পেয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে বিক্রেতাদের মধ্যে।
কুসুমহাটিতে আসা নেত্রকোনা এলাকা থেকে ১৭টি গরু নিয়ে বাজারে এসেছিলেন গরুর ব্যাপারী আলী আকবর শেখ। তিনি বলেন, শনিবার ১১টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। ওইদিন ভালো ক্রেতা পাননি। সোমবার সকাল থেকেই হাটগুলো জমে উঠেছে। এরই মধ্যে ৫টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। লাভ মোটামুটি হয়েছে।
মময়মনসিংহ থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এসেছেন গরুর ব্যাপারী জবেদ মোল্লা। তিনি বলেন, এই ১৬টি গরু তিনি কিনেছেন ১৬ লাখ টাকা দিয়ে। দাম ১৮ লাখ উঠলে তিনি ছেড়ে দেবেন।
শ্রীবরদী গরুহাটির পাইকার আব্বাস আলি জানান, ক্রেতা থাকলেও দরদাম করে সময় কাটাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি।
শহরের চকপাঠক মহল্লার বাসিন্দা শেখ জলিল বলেন, গরুর হাটের হাবভাব দেখতে এসেছি। ঈদের আগের দিন আরেকটি হাট পাব। তাই সেদিন কিনব। তিনি বলেন, ঈদের এত আগে থেকে গরু কিনলে তা রক্ষাণাবেক্ষণ করা কঠিন।
গরু কিনতে আসা শহরের খরমপুরের বাসিন্দা সেকান্দর মিয়া জানান, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশ সহনীয়। তবে গরুর আকার ও রং ভেদে দামের তারতম্য হচ্ছে।
আখের মামুদ বাজারের বাসিন্দা আকিব বলেন, হাটে প্রচুর গরু কিন্তু ব্যাপারীরা দাম ছাড়ছেন না। তারা বেশি দাম পাওয়ার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এজন্য ক্রেতারা এক হাট থেকে আরেক হাট ঘুরে দরদাম করছেন।
তবে অনেক ক্রেতা জানিয়েছেন, এবার গরুর দাম গত বছরের চেয়ে একটু বেশি। বেশিরভাগ ক্রেতা ৩৫, ৪০, ৫০, ৬০ হাজার টাকায় গরু কিনতে চান। কিন্তু সেই তুলনায় দাম একটু বেশি।
উল্লেখ্য, গত ক’দিন যাবত শেরপুরের পশুর হাটে তেমন ভিড় লক্ষ করা যায়নি। তবে শেষ মুহুর্তেই জমে উঠেছে হাটগুলো।