আমান উল্লাহ মন্টুর স্ত্রী ও তার নাতি শরিফ (৬) একই বাড়ির হাবিবুর রহমানের ছেলে।
জেলা ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার মধ্যরাতে মিঠু মাষ্টারের বাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পুড়ে মারা যায় ঘরে থাকা শিশু শরিফ মিয়া। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজা বেগমকে
উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয় দুইটি থাকার ঘর, একটি গোয়াল ঘর। একইসাথে গোয়াল ঘরে থাকা চারটি গরুরও পুড়ে মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই পরিবারকে নগদ ৪০ হাজার টাকা সহায়তা দেন উপজেলা প্রশাসন।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মুহাম্মদ তারেক জানান, কি কারণে আগুনের সূত্রপাত, তা জানা যায়নি। তদন্তের পর জানা যাবে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তদন্তের পর বলা যাবে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের অনুরোধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।