বহু নাটকীয়তার পর শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী- নকলা) সংসদীয় আসনের দুই উপজেলার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় বিএনপি। সদ্য পদত্যাগী নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মুখলেছুর রহমান রিপনের চূড়ান্ত মনোনয়নপত্র বাতিল করে পুনরায় চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হলো সাবেক হুইপ মরহুম আলহাজ্ব জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরীকে। আজ রবিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই মনোনয়নপত্র গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থী ফাহিম চৌধুরীর হাতে তোলে দেওয়া হয়। বিএনপি’র দায়িত্বশীল সুত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এখন আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সাথে নির্বাচনী মাঠে লড়বেন বিএনপি’র প্রার্থী প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী।
এর আগে গতকাল ৮ ডিসেম্বর সকাল দশটার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরাস্থ বাসার সামনে প্রায় পৌণে এক ঘণ্টাব্যাপী এ বিােভ কর্মসূচী পালন করেন ফাহিম সমর্থিত শতশত নেতাকর্মী। এসময় তারা ফাহিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবী জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন এবং রাস্তায় বসে ও শোয়ে পড়েন। মির্জা ফখরুল বাসা থেকে বেরিয়ে গুলশান কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি নেতাকর্মীদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে ফাহিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে ফাহিম চৌধুরীকে ফখরুল তার গাড়িতে উঠিয়ে নেতাকর্মীদের গুলশান কার্যালয়ে যাওয়ার কথা বললে অবরোধ তোলে নেন নেতাকর্মীরা। এসময় ফাহিম চৌধুরী ছাড়াও জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেলসহ নালিতাবাড়ী ও নকলা দুই উপজেলার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাতভর বিএনপির গুলশান কার্যালয়ের সামনে ফাহিম চৌধুরী সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর শেরপুর-২ আসনে বিএনপি থেকে একেএম মুখলেছুর রহমান রিপন, ব্যারিস্টার মো. হায়দার আলী ও ফাহিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর ৭ ডিসেম্বর একেএম মুখলেছুর রহমান রিপনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে নেতাকর্মীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং রাতেই ঢাকায় গিয়ে অবস্থান নেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর নকলা ও নালিতাবাড়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রেসকাব নালিতাবাড়ী কার্যালয়ে ফাহিম চৌধুরীকে এককভাবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে তারা ফাহিম চৌধুরী ব্যতীত অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচন বর্জন ও গণপদত্যাগের হুশিয়ারী দেন।