শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে পিতার আসন পুনরুদ্ধার করতে চান বিএনপির সাবেক হুইপ মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর বড় ছেলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী। তিনি এই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। এই আসনের আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর সাথে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন তিনি।
এই আসনটি স্থানীয়ভাবে ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত। এ আসনের বিজয়ী প্রার্থীর মন্ত্রী হওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও অবশেষে কেন্দ্রীয় বিএনপি এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের জন্য ফাহিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়।
২০০১ সালে বিএনপির মরহুম আলহাজ্ব জাহেদ আলী চৌধুরী এ আসনে আ’লীগের প্রার্থী মতিয়া চৌধুরীকে মাত্র ২৮৮৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছিলেন। যার পুরষ্কার হিসেবে বিএনপি তাকে হুইপ পদ দিয়ে সম্মানীত করেছিলো। এ আসনে অনেক আগে থেকেই বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন সাবেক হুইপ প্রয়াত আলহাজ্ব জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে ফাহিম চৌধুরী। পৈত্রিক কারণে ফাহিম চৌধুরীর অবস্থান সুদৃঢ় থাকলেও এই আসনে দীর্ঘ সময় অভিভাবক শূণ্য থাকায় সাংগঠনিকভাবে ভালো অবস্থানে নেই বিএনপি।
শেরপুর টাইমস ডট কমের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী বলেন, আমাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। ধানের শীষের পোষ্টার লাগানোর জন্য অনেকের নামে মামলা হয়ে গেছে, মাইকিং করার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকা নেতাকর্মী শূণ্য হয়ে পড়েছে। সর্বোপরি এখনো নির্বাচনী পরিবেশ তৈরী হয়নি। যদি আসন্ন দিনগুলোতে কোনধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি হয় এবং ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তাহলে ধানের শীষের জয় সুনিশ্চিত।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে মোট ভোটার ৩লাখ ৪৯ হাজার ১৫৮ জন; এর মধ্যে পুরুষ ১লাখ ৭১হাজার ৯১২ জন এবং মহিলা ১লাখ ৭৭হাজার ২৪৬ জন। এই আসনের ভোটাররা আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ১৩৯ ভোট কেন্দ্রের ৭১০ টি ভোট কক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।