শেরপুর-২ ( নালিতাবাড়ী- নকলা) আসনে একক প্রার্থী হিসেবে প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরীকে মনোনয়ন প্রদান না করা হলে গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছে নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার সিংহভাগ নেতা কর্মী। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় বিএনপির নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশী বাধাঁর অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে প্রকৌশলী ফাহিম চৌধূরী, ব্যারিষ্টার হায়দার আলী ও উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোখলেছুর রহমান মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তবে ২০০১ সনের মতো আসনটি দখলের জন্য জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মরহুম জাহেদ আলী চৌধূরীর পুত্র প্রকৌশলী ফাহিম চৌধূরীর কোন বিকল্প নাই। তিনি বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সব সময় নেতাকর্মীদের সংগে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাই নির্বাচনে তাকেই প্রয়োজন। তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, ফাহিম চৌধূরী ছাড়া অন্য কাউকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হলে তারা স্থানীয় নির্বাচন বর্জন এবং দল থেকে গণপদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
এ ছাড়াও বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশী বাঁধায় আমাদের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন না করতে পেরে আমরা বাধ্য হয়েছি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছি। আওয়ামীলীগ প্রতিদিন নির্বাচনী আচরণ বিধি ভংগ করলেও প্রশাসন তাদের কিছু বলেছে না। তাই আমরা মনে করি নির্বাচনে এখনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরল আমিন, যুগ্ন আহবায়ক আশরাফ আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় নকলা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রফিজ উদ্দিন রেফাজ, যুগ্ন আহবায়ক মাহমুদুল হক দুলাল, নালিতাবাড়ী বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হাবিবুর রহমান লিটন, ফাতেমা সরকার, হুমায়ূন কবির, শহর বিএনপির আনোয়ার হোসেন, শফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের পুলিশী বাঁধার বিষয়টি অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন , বিএনপির নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করতে না পারলে আমরা কি করব? তাদেরকে কোন ধরণের বাধাঁ দেয়া হয়নি।
অন্যদিকে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।