শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী সীমান্ত উপজেলায় বন্যহাতির অভয়াশ্রম করতে সরকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) মধুটিলা রেঞ্জের মধুটিলা ইকোপার্কে ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে সীমান্তে মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মোস্তফা কামাল বলেন, বন্যহাতির আক্রমণে নিহত পরিবারকে তিন লাখ, আহতকে এক লাখ ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। কোনো অবস্থাতেই বন্যহাতিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মারা যাবে না বলে জানান তিনি।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক আরএসএম মুনিরুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা একেএম. রুহুল আমীন।
আলোচনা শেষে সামাজিক বনায়নের ৩২ জন উপকারভোগীর মাঝে লভ্যাংশের ১ কোটি ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬২ টাকার চেক, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ ও গত এপ্রিলে বন্যহাতির আক্রমণে নিহত অপূর্ব চাম্বুগংয়ের পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
সভায় সীমান্তের তিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।