শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠ ভোট হলে, হারলেও মেনে নিবে বিএনপি- একথা জানিয়েছেন বিএনপি থেকে মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাসুদ। আজ বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রতি শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মানুষ এখন ভোট প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তাই ভোট কেন্দ্রে যেতে চায় না। তবুও আমরা সাধারণ ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। যেহেতু এবার ইভিএমে নির্বাচন, যদি সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাহলে ধানের শীষের জয় সুনিশ্চিত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, যদি সুষ্ঠ ভোট হয় আর বিএনপি যদি হেরে যায় তবুও মেনে নিবে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, দীর্ঘদিন পর কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে শেষ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। এ নির্বাচন আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করার আন্দোলনের একটি অংশ। সদর উপজেলা নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করার আন্দোলন আরো বেগবান হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থীকে বিভিন্ন হয়রানি করে বের করে দেয়া হয়েছে এবং জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সব এজেন্টদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে যদি এজেন্টদের কোন হয়রানি না করা হয়, তবে বিএনপির জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা বলেন, তফসিল ঘোষণা থেকে এখন পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ভূমিকা সন্তোষজনক। এবারও যদি কোন কারচুপি হয়, তাহলে সরকার ও ইসির ইভিএম প্রক্রিয়াও কলংকিত হবে। ভবিষ্যতে আর কেউ ভোট দেয়ার ব্যপারে প্রশাসন ও সরকারের উপরে ভরসা রাখতে পারবে না। তাই নির্বাচন সুষ্ঠ করে ভোট প্রদানে সবার আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের প্রতি তারা আহবান জানান।
এসময় লিখিত বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাচনে ১৪০ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেন নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম স্বপন, এড. সামিউল ইসলাম, এড. রকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ পলাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ এমকে মুরাদসহ দলের জৈষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।