শেরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য নবায়ন ও ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে। টানা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে ওই কার্যক্রম। এরপর আবেদন বাছাই শেষে ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে স্থায়ী সদস্য ও সহযোগী সদস্যদের তালিকা।
২৯ আগস্ট বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাবের বিদায়ী সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধারের সভাপতিত্বে ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নির্বাহী পরিষদের এক সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল ভেদাভেদ ভুলে জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি এবং স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকদের নির্ধারিত সময়-সীমার মধ্যে সদস্যপদ নবায়ন ও ভর্তি কার্যক্রম সেরে নেওয়ার জন্য বিদায়ী সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।
প্রেসক্লাবের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলার পরিচালনায় নির্বাহী পরিষদের ওই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি জিএম আজফার বাবুল, সহ-সভাপতি এসএম শহীদুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ, যুগা¥ সাধারণ সম্পাদক রওশন কবীর আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান মোরাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানুল হক আবীর, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল, নিবার্হী সদস্য শরিফুর রহমান, সঞ্জীব চন্দ বিল্টু প্রমুখ।
সভা প্রসঙ্গে প্রেসক্লাবের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা বলেন, বিগত ২ বছর যাবত প্রায় সদস্যেরই সদস্যপদ নবায়ন করা হয়নি। এজন্য প্রতিমাসে ২০ টাকা হিসেবে ২ বছরে নবায়নবাবদ ৪৮০ টাকা এবং নতুন সদস্য ভর্তিবাবদ ১ হাজার টাকা পরিশোধ করে নবায়ন ও ভর্তির ফরম সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা জমা দিতে হবে।
এরপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা আহবান করে সেই সভায় পরবর্তী কমিটির বাকি থাকা ১২টি পদ আলোচনা সাপেক্ষে পূরণ করা হবে। এরপর গত ১৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। অর্থাৎ নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পূর্ব পর্যন্ত বিদায়ী কমিটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।