ময়মনসিংহ বিভাগের সবচেয়ে প্রাচীনতম শেরপুর পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের প্যানেল করে কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য আজ বেলা ১১টা থকে শেরপুর জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃণমূল ভোট শুরু হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে তৃণমূলের ভোটের আয়োজন করার অভিযোগ এনে সকালে সংবাদ সম্মেলন করে তৃণমূল ভোট বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এক প্রার্থী।
দলীয় সুত্র জানায় , ২২ নভেম্বর শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের এক সভায় দলীয় ৫ মনোনয়ন প্রত্যাশীকে সমঝোতায় আনার জন্য ১২ সদস্যের কমিটি করে দেয়া হয়। এতে তারা সমঝোতা পৌছতে ব্যর্থ হন। পরে তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে ক্রমানুসারে ৫ জনের নামই কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতেই আজ ৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এনিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা।
জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: আতিউর রহমান আতিক সার্বক্ষনিক নির্বাচন পর্যবেক্ষন করছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল।
এদিকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে তৃণমূলের ভোটের আয়োজন করার অভিযোগ এনে সকালে নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে তৃণমূল ভোট বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ও শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার।এসময় তার সমর্থিত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুর শহর আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সকল সদস্য, পৌর এলাকায় অবস্থানরত জেলা ও শেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা ভোট দিতে পারবেন। মোট ১০৯ জন ভোটার এতে ভোট প্রদান করছেন।