তৃণমূলে গড়িয়েছে ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। রবিবার রাতে শহরের চকবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের এক বিশেষ সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ পৌরসভায় মেয়র পদে দলের ৫ মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে প্রথমতঃ সমঝোতার চেষ্টা চালানো হবে এবং সেই চেষ্টা সফল না হলে তৃণমূলের ভোটের প্রাপ্ত ক্রমানুসারে ৫ জনের নামই কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে পাঠানো হবে বলেও সিদ্ধান্তে জানানো হয়।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুত্রে জানা গেছে, শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে জেলা আওয়ামী লীগের সভায় প্রথমেই আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা আহবান করা হয়। এসময় বর্তমান মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনিসুর রহমান এবং শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আরিফ রেজা আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন প্রত্যাশী হন।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বক্তব্য শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক তার সমাপনী বক্তব্যে তৃণমূলের ভোটের (৭১ সদস্যের শহর আওয়ামী লীগ ও শহরে অবস্থানরত জেলা আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতার) প্রাপ্ত ক্রমানুসারে ৫ জনের তালিকাই কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তবে তৃণমূলের আগে প্রথমতঃ ৫ প্রার্থীকে এবং পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পালের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটিকে সমঝোতার চেষ্টা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য মোঃ খোরশেদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম, ফখরুল মজিদ খোকন ও মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত কুমার দে ভানু ও নাজিমুল হক নাজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বশিরুল ইসলাম শেলু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল কাশেম জিপি প্রমুখ।