শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রুমানের বিরুদ্ধে তারই পরিষদের সদস্য জাকারিয়া বিশুকে মারধোর করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই সদস্য । ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পৌর টাউন হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া বিশু তার বক্তব্যে বলেন, জেলা পরিষদের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও দ্বিমত প্রকাশ করায় বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান আমাকে নানা ভাবে হুমকি ও পরিষদের আসতে নিষেধ করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ অক্টোবর সোমবার দুপুরে সহকারী প্রকৌশলীর কক্ষে গিয়ে আমি একটি প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলছিলাম।
এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান নিজে দোতালায় তার অফিস থেকে নেমে এসে আমাকে বাম হাত দিয়ে আমার মাথায় ঘুষি মারে। এসময় তার সাথে সাঙ্গপাঙ্গরা আমার পিঠের উপর কলাম দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আঘাত করে জখম করে। পরে আমি হাসপাতালে ভর্তি হই।
পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমানসহ তার অন্য সহযোগীদের মধ্যে কামাল হোসেন ও হাসানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। কিন্তু সদর থানায় ওসি মো. নজরুল ইসলাম ওই আবেদন না নিয়ে আমাকে জেলা পরিষদের চেযারম্যানের নাম বাদ দিয়ে এজাহার দিতে বলে। কিন্তু আমি তাতে রাজি না হয়ে চলে আসি এবং বুধবার আদালতে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মামলার বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানায়, তিনি কখনোই থানায় আসেননি তিনি সম্ভবত হাসপাতালে ছিলেন বরং আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের একজনকে দিয়ে একটি আবেদন থানায় পাঠিয়ে দিয়েছিল। মামলা না নেয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। আমি তার আবেদন রেখেছি এবং আমাদের সেকেন্ড অফিসার কামরুল হাসানকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে দিয়েছি।
এ ব্যপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যে এবং তার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এমন মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।