শেরপুর জেলা ট্রাক মিনিট্রাক ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (৩২৭৭) এর কার্যকরী পরিষদের নবনির্বাচিত কর্মকতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন (১৬৬৫) এর নেতারা। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্যে সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন (১৬৬৫) এর সংগঠনটি ১৪ বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছিলো। যা (১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল)। এরপর যখন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন প্রতিটি জেলায় স্বাধীন সংগঠন করতে থাকে, তখন তারা নিজেদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন (১৬৬৫)র কার্ড জমা দিয়ে (৩২৭৭) অর্থাৎ শেরপুর জেলা ট্রাক মিনিট্রাক ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ওই সংগঠনের সাথে মিলিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ৩২৭৭’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটার পর আমাদের বিশ্বাস ছিলো এর শক্তি বৃদ্ধি পাবে, নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন ফিরে পাবো, নিয়মিত নির্বাচন হবে ও সংবিধান অনুযায়ী চলবে সংগঠন। কিন্তু, আজ এর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন ও উল্টো। ফলে ওই সংগঠনের তরফ থেকে ১৬৬৫ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ নানাভাবে হুমকী দেওয়া হচ্ছে। এজন্য তারা তাদের বৈধ সংগঠনটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর বিশু, কার্যকরী সভাপতি মঞ্জুরুল হক মঞ্জিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক দুলাল। সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ জেলার কর্মকর গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শেরপুর শহরের গৌরীপুর এলাকায় লোকাল ট্রাক পরিচালনা অফিসে হামলা-ভাংচুর ও জবর দখলের অভিযোগ তুলে আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের বিরুদ্ধে গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ট্রাক-মিনিট্রাক, ট্যাংক লরি ও কাভার্ড ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।