নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াইয়ে টিকে নির্বাচনের প্রায় ৩ বছর পর শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন আকবর আলী। বৃহস্পতিবার(২৩ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় রজনীগন্ধায় আকবর আলীকে শপথ পাঠ করান ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এটিএম জিয়াউল ইসলাম। বুধবার নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেট এবং কমিশনের উপ-সচিব মিজানুর রহমান সাক্ষরিত পত্রের নির্দেশনার আলোকে ওই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শপথ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ইউপি চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নে লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রউফকে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকবর আলীর সাথে ৪৭ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাতে আব্দুর রউফের প্রাপ্ত ভোট ৭ হাজার ৫৫৭ ও আকবর আলীর ভোট ৭ হাজার ৫১০ দেখানো হয়। এরপর গেজেট প্রকাশ ও দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। অন্যদিকে প্রথম থেকেই ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনসহ দৌড়ঝাপ চালিয়ে যেতে থাকেন নিকটতম ঘোষিত প্রার্থী আকবর আলী। এক পর্যায়ে ভোট কারচুপির কারণে কলুরচর ব্যাপারীপাড়া কেন্দ্র বাতিল ও পুনঃভোটগ্রহণ এবং টাকিমারী ও জঙ্গলদি কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবিতে শেরপুরের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন আকবর আলী। মামলাটি বিচারের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকাবস্থায় স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের প্রভাব খাটানোর আশঙ্কায় উচ্চ আদালতে বিবাদী আব্দুর রউফের রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে তা ময়মনসিংহ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। সেখানে দু’টি কেন্দ্রের ভোট গণনায় আকবর আলীকে ৮৪ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল এবং নির্বাচন কমিশনকে গেজেট প্রকাশ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই আদেশের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহেই আব্দুর রউফের পক্ষে আপীল করা হলেও বিচারিক ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত করা হয়নি।