শেরপুরে সংখ্যালঘু সুরক্ষা ও বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভুমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভুমি কমিশন গঠনসহ ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে শনিবার (২২ অক্টোবর) জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এক গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে।
সকালে শহরের টাউনহল চত্ত¡রে এ গণঅনশন কর্মসূচিতে ঐক্য পরিষদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জেলা খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, পুরোহিত কল্যাণ পরিষদ, বরিদাস ফোরাম, জনউদ্যোগসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন। গণঅনশন চলাকালে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সুধাময় দাস। ঐক্য পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মলয় চাকীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শেরপুর মডেল গার্লস ইনস্টিউটের অধ্যক্ষ তপন সারোয়ার, শিক্ষাবিদ ও জনউদ্যোগ আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি নারী নেতা জয়শ্রী নাগ লক্ষী, জেলা ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক কানু চন্দ্র চন্দ, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি সুদর্শন মারাক, নকলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ধর সুভাষ, সাধারন সম্পাদক অভিজিৎ বণিক, নকলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবোজিৎ পোদ্দার ঝুমুর, ঝিনাইগাতী ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক শিক্ষাবিদ জীবন চক্রবর্তী, জেলা ঐক্য পরিষদের আইন সম্পাদক অ্যাড. মানস চক্রবর্তী অংকন, পুরোহিত কল্যাণ পরিষদের সাবেক সাধারন সম্পাদক সঞ্জিত চক্রবর্তী, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শান্ত রায়সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
এতে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সরকারী দলের নির্বাচনী ইশতেহারে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। তারা আগামী এক বছরের মধ্যে প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহয়োগিতা কামনা করেন। গণশন শেষে বিকেলে প্রধান অতিথি অনশনকারীদের পানি পান করিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।