শেরপুরে মামলা-মোকদ্দমার জের ধরে বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও সব মালামাল লুটপাটের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মিনা খাতুন বলেন, কিছুদিন আগে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক সেনাসদস্যকে হত্যার অভিযোগে আমাদের পরিবারের ৬ জনকে হয়রানিমূলক মামলায় জড়ানো হয়েছে। আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল, তাই আইনগতভাবেই আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি।
কিন্তু স্থানীয় মিস্টার মিয়া নামে বাদীপক্ষের এক আত্মীয়ের নেতৃত্বে তারা সবাই মিলে আমাদের ৬টি বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে সব মালামাল ও আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। ক্ষেতের ফসল, কলাবাগান, মূল্যবান গাছ কেটে লুট করে নিয়ে গেছে।
মোটরসাইকেল, ঘরের ফ্রিজ, টিভি, নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্রসহ সব মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল লুট করেছে তারা। এখন কেবল ভিটেমাটিটুকু পড়ে আছে। এখন বেকু লাগিয়ে ভিটের মাটিও কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। আমরা সবকিছু হারিয়ে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছি। আমাদের মাথা গুজার ঠাঁইটুকুও তারা রাখেনি। এছাড়া প্রতিনিয়ত তাদের প্রাণনাশের হুমকিতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার বিষয়ে মিস্টার মিয়াসহ ৯ জনকে স্বনামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় ও শেরপুর সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছি। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও পুলিশ এখনও আমাদের মামলা এফআইআর করেনি।
ভুক্তভোগী পরিবারের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবি আক্তার বলেন, তাদের হুমকির কারণে আমরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না। আমরা অত্যন্ত ভয়ে দিনযাপন করছি। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা অংশ নেন।
এদিকে তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে মিস্টার মিয়া দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। তারা সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরামকে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে এমন অভিযোগ তুলছে। আমরা কেউ এর সাথে জড়িত না।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবায়দুল আলম বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।