মহিউদ্দিন সোহেল ও নাঈম ইসলামঃ শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে হাতি হত্যায় এই প্রথম মামলা করেছে বন বিভাগ।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ ধারায় চারজনের নামে গত ১১ নভেম্বর এ মামলা করা হয়।
আসামিরা হলেন মালাকুচা এলাকার দুই ভাই আমেজ উদ্দিন ও সমেজ উদ্দিন এবং মো. আশরাফুল ও মো. শাহজালাল।
রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৯ নভেম্বর শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ে বিদ্যুৎ লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত জিআই তারে জড়িয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এ ঘটনায় প্রথমে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ১১ নভেম্বর চারজনের নামে মামলা করেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নির্বিচারে বনভূমি দখল করে চাষাবাদ করায় হাতি লোকালয়ে এসে পড়ছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও কোনো সমাধান করতে পারছি না। হাতি হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শেরপুরে এই প্রথম মামলা করল বন বিভাগ। আসামি চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।’
দুই দশকে হাতির আক্রমণে নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছেন শতাধিক। বাড়িঘর, ফসল, গাছপালার ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে কয়েক কোটি টাকার ওপরে। একই সময়ে নানা কারণে মারা গেছে ১৮টি হাতি।
এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের ট্রেইনার আদনান আসিফ শেরপুর টাইমসকে বলেন, আজ থেকে ২০ বা ৩০ বছর আগে গারো পাহাড় বিরাট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল। ধীরে ধীরে তা সংকুচিত হয়ে এসেছে। অবশিষ্ট আছে শুধু হাতি। মানুষ এ বনে অনুপ্রবেশকারী। অনুপ্রবেশকারীদের আধিক্যের কারণে পাহাড়ে বন্যপ্রাণীদের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ বন্যপ্রাণী এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।