শেরপুরের শ্রীবরদীতে জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলার রায়ে চারজনের যাবজ্জীবন কারাদ- ও দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদ- প্রদান করেছেন আদালত। দন্ড প্রাপ্তরা হলেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার চিসথিয়াপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন, কামারদহ গ্রামের আবদার আলীর দুই ছেলে বিফল ও রোমান এবং একই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শাহজাহান। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি ছামিউল হককে খালাস দেওয়া হয়।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন আজ ৬ মার্চ সোমবার বিকেলে এ দ-াদেশ প্রদান করেন। তবে দন্ড প্রাপ্ত সকল আসামি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে দ-প্রাপ্ত আসামি মোশারফ হোসেন কামারদহ গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে (১৮) ভিসিডি দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও জাহাঙ্গীরের সন্ধান পাননি। পরে ২০০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কামারদহ গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম পাশের একটি জমির আইলের মধ্যে শুকনা কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পুলিশ একটি লাশ উদ্ধার করে। এসময় লাশের কাপড়-চোপড় দেখে দুলাল মিয়া এটিকে তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের লাশ হিসেবে সনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় তিনি (দুলাল মিয়া) বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় দন্ড প্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শ্রীবরদী থানার তৎকালীন পরিদর্শক মোঃ জহুরুল হক তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণশেষে দীর্ঘ এক যুগ পর আদালত আজ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মোঃ ইমাম হোসেন রাষ্ট্রপক্ষে ও মোঃ মোখলেসুর রহমান আকন্দ আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন।