শেরপুরে কৃষক নছিমদ্দিন হত্যা মামলার রায়ে ১৯ আসামীর মধ্যে শরাফত আলী নামে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। রায়ে আনসার আলী ও রফিকুল ইসলাম নামে দ্ইুজনকে ৫ বছর করে এবং হুসেন আলী ও নুরল ইসলাম নামে আরও দুইজনকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদ- ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে জেলা ও দায়রা জজ এম. এ. নূর এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তদের উপস্থিতিতে ঘোষিত এ রায়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। সাজা ও খালাসপ্রাপ্তরা সকলেই সদর উপজেলার চরখারচর গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার চরখারচর গ্রামে একই গোষ্ঠির নছিমদ্দিন ও আনছার আলীর পরিবারের মাধ্যে জমি নিয়ে সংঘর্ষে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ বিকেলে গুরুতর আহত হন নছিমদ্দিন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নছিমদ্দিন হাসপাতালেই মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রবিন মিয়া বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামী করে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রায় এক বছর তদন্তের পর সিআইডি’র তৎকালীণ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নওজেশ আলী মিয়া ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ১৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এই রায় ঘোষণা করা হয়।