শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে চাঞ্চল্যকর ইদ্রিস হত্যা মামলার প্রধান আসামী যোগানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি চেয়ারম্যানকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও এই খুনের ঘটনায় এজহারনামীয় আরো ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এমন তথ্য জানিয়েছেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. বিল্লাল হোসেন।
তিনি আজ দুপুর ৩ টার দিকে জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিং করে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান। তিনি জানান , ৩ মে রাত দুইটার দিকে পলাতক থাকাবস্থায় সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর থেকে মামলা প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করে নালিতাবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয় এবং তার স্বিকারোক্তির মাধ্যমে গেল রাতে তার তৃতীয় স্ত্রীর বাড়ীর আঙ্গিনার একটি নারিকেল গাছের তলার নিচ থেকে একটি বিদেশী ৭.৬২ পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,২৫ এপ্রিল যোগানিয়া কুত্তামারা গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান হাবি’র আতœীয় মাজব আলীর বাড়ির নিকটে নিজের জমিতে কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে পাকা ধান কাটতে যায় একই এলাকার সোহরাব আলী। এসময় আধিপত্ত বিস্তার ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ নানা কারণে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চেয়ারম্যানের পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী মাজব আলী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে হামলা করে ও মারধর করে। ফলে ধান কাটা বিরত রেখে সোহরাব আলী বাড়ি চলে আসে। পরে পুনরায় লোকজন নিয়ে ক্ষেতে গিয়ে ধান কেটে বাড়ি আসে সোহরাব । খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে চেয়ারম্যান হবি, তার ছেলে শান্ত ও দুই স্ত্রীসহ দলবল নিয়ে সোহরাব আলীদের বাড়িতে হামলা করে। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে সোহরাব আলী এবং তার আত্মীয়-স্বজন প্রতিরোধে এগিয়ে আসে । এসময় চেয়ারম্যান হবি ও তার ছেলে শান্ত তাদের সাথে রাখা অবৈধ পিস্তল বের করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে সোহরাব আলীর চাচাতো ভাই কৃষক ইদ্রিস আলী (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
এসময় অন্যানের মধ্যে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন সহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।