শেরপুরে শেফালী বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনে হত্যার মামলায় স্বামী প্রধান আসামী লাভলু মিয়া (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১০ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মামলার তদন্ত কমকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম।
মামলার তদন্ত কমকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম ওই গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী লাভলু মিয়াকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার অপর আসামীদেরকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই বছর আগে সদর উপজেলার হাতিআগলা গ্রামের বাসচালক লাভলুর সঙ্গে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বালিহালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়। তারা সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারের একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। কিন্তু বিয়ের পর থেকে নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু স্ত্রী শেফালীকে বেদম মারধর এবং তলপেটে লাথি মেরে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় শেফালীকে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায় লাভলু। পরে সোমবার সকালে শেফালী ওই হাসপাতালেই মারা যায়। কিন্তু শেফালীর লাশ গ্রহণ না করে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার স্বজনরা। পরে থানা পুলিশ শেফালীর লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ৯ জুলাই সোমবার রাতে গৃহবধূর বাবা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে পাষ- স্বামী লাভলু মিয়া (৩০), তার বাবা-মা ও ভাইসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।