শেরপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে আনসার আলী ওরফে সর্বেশ আলী (২৮) নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। সে পাকুরিয়া ইউনিয়নের লোকায়ের পাড় গ্রামের মো. মজিবর রহমানের ছেলে।
২৮ জানুয়ারী রোববার বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন ওই রায় ঘোষনা করেন। রায়ে বিচারক আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যৌতুক না পেয়ে আসামী আনসার আলী তাঁর স্ত্রী এক সন্তানের জননী জাহানারা বেগম ওরফে চায়না (২২) কে শারিরিক নির্যাতন করে হত্যা করে। এ ঘটনায় আসামীর বাবা-মা ভাইসহ ৪ জন জড়িত ছিল।
ওই রাতে খবর পেয়ে জাহানারা বেগমের বাবা মেয়ের বাড়ীতে গিয়ে তাঁর লাশ বসত ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, শারিরিক নির্যাতনে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা আব্দুল খালেক বাদী হয়ে আনসার আলীর বাবা-মা ও ভাইসহ ৪ জনের নামে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৫ মার্চ থানার উপ-পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম তদন্ত শেষে ৪ জনের নামে আদালতে চার্জশীট দেন। মামলায় চিকিৎসক, তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জন সাক্ষ্য দেন।