শেরপুরে স্কুলের টয়লেট থেকে রিমন হাসান (১৪) নামে এক ছাত্রের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ২৭ আগস্ট শনিবার সকালে নিহত রিমনের বাবা মো. সাগর মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল বলেন, শনিবার সকালে নিহত রিমনের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।
রিমনের মো. সাগর মিয়া ও মা মোছা. রশিদা জানান, কিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল রিমনের। সে ওই মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিমন বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফিরেনি। পরে সকালে খবর পান, স্কুলের টয়লেটে রিমনের লাশ পড়ে আছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ধারণা করতে পারছেন না। তারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাদের ছেলের এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি এন্ড হাই স্কুলের একটি টয়লেট থেকে ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিমনের বিবস্ত্র ও কাদামাখা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিমন পার্শ্ববর্তী খুনুয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মো. সাগর মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। পরে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট, ডিবি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।