শেরপুরে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার মামলায় মানিক মিয়া নামে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং পর্ণগ্রাফি মামলায় তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত মানিক মিয়া সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের ডুবারচর গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে। তিনি ডুবারচর মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক হিসেবে ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ডুবারচর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর বিকেলে নানা প্রলোভনে মানিক মিয়া তাকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় একই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মানিক মিয়াসহ অজ্ঞাত ২/৩জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই গ্রেফতার হন মানিক মিয়া। মামলায় এসআই কামরুল হাসান ২০১৮ সালের ২১ মে তদন্ত শেষে একমাত্র আসামী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, ভিকটিম, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মানিক মিয়াকে দোষী সাবস্থ্য করে আদালত এ আদেশ দেন।
এ রায়ে সন্তোস প্রকাশ করেছেন শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পি.পি. এ্যাড. গোলাম কিবরিয়া বুলু।