শেরপুরে অবশেষে প্রতারক প্রেমিক স্বামীর মামলায় ৮ দিন হাজতবাসের পর জামিন পেয়েছেন সেই প্রতিবন্ধী সুমাইয়া আক্তার (২৬)। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে হাজতি সুমাইয়া আক্তার ও তার ৪ আত্মীয়-স্বজনের জামিন মঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন। এর আগে জেলা কারাগার থেকে নিজের হুইল চেয়ারে বসিয়েই আদালতে হাজির করা হয় সুমাইয়াকে। জামিনপ্রাপ্ত অন্যান্যরা হচ্ছেন- সুমাইয়ার বড়ভাই আব্দুস সাত্তার (৩৫), চাচা মফিজুল হক (৫২), ভাতিজা আসাদুজ্জামান লিটন (৩৮) ও আত্মীয় শামসুল হক (৪৫)।
সুমাইয়ার আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম ভাসানী জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় হাজত খাটার পর উল্টো সেই প্রতারক প্রেমিক স্বামী ইব্রাহিম খলিল (২৮) প্রতিবন্ধী সুমাইয়া ও তার ৬ আত্মীয়-স্বজনের নামে কাবিননামা জালিয়াতির অভিযোগে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। মামলা পিবিআইয়ের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হলেও পরবর্তীতে আমলী আদালত সুমাইয়াসহ সকল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে গ্রহণ করেন। ওই মামলায় ২৩ আগস্ট সুমাইয়াসহ ৫ জন আমলী আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা আবেদন নাকচ করে তাদের সকলকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ২৫ আগস্ট ওই আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ক্রিমিনাল মিছ কেইস আনয়ন করা হলে প্রতিবন্ধী সুমাইয়ার উপস্থিতিতে ৩১ আগস্ট হাজতি ৫ জনের জামিন শুনানীর তারিখ ধার্য করা হয়।