শেরপুরে সিনেমা হল ব্যবসা এখন ঈদ কেন্দ্রিক বলে দাবী করেছেন এ ব্যবসা সংশ্লিষ্ট হল ব্যবসায়ীরা । অথচ এক সময়ে বিনোদনের অন্যতম বড় মাধ্যম ছিল এ সিনেমা হলগুলো । আর ঈদ উৎসবের সিনেমা দর্শকদের জন্য বাড়তি আনন্দ যোগ করে। যুগ যুগ ধরে এই উৎসবে নতুন নতুন সিনেমা দেখে দর্শকরা খুঁজে পেত অন্যরকম আমেজ। ঈদ এলেই মুক্তি পায় একাধিক নতুন ছবি। এক সময়ের সিনেমা হল খ্যাত শেরপুর শহরের ৬ টি সিনেমা হল চালু থাকলেও নানা প্রতিকুলতায় এখন চালু আছে মাত্র রূপকথা ও সত্যবতী নামের দুটি সিনেমা হল । ব্যবসা না হওয়ায় শহরের তিনটি সিনেমা হল লিখন, পদ্মা, কাকলী ও মেঘনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন সিনেমা হল মালিকরা।
রূপকথা সিনেমা হল মালিক শুভ্র সাহা জানান, বাবা ও দাদার এ ব্যবসা তিনিও চালাচ্ছেন লোকসান দিয়ে। কতদিন চালাতে পারবেন তা নিজেও তিনি জানেন না। তবে সরকার যদি আমাদের দিকে দ্রুত নজর না দেয় তবে হয়ত সামনের কোরবানী ঈদের পরে এই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে বলে জানালেন তিনি।
কেন এ বিপর্যয় জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা জানালেন , সিনেমা হলের দর্শকদের বেশীরভাগই গ্রাম ও শহরের নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে গ্রাম ও হাট বাজার গুলোর চা ও মুদি দোকানের টিভিতে ডিস ও সিডির মাধ্যমে নতুন নতুন ছবি দেখতে পারায় তারাও সিনেমা হলে টাকা খরচ করে সিনেমা দেখতে আগ্রহ হারাচ্ছে।
এদিকে শেরপুর শহরের চালুকৃত রূপকথা সিনেমায় এই বারের ঈদে চলছে শাকিব খান-বুবলী অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড নামের একটি ছবি আর সত্যবতী সিনেমা হলে চলছে শাকিব-ববি অভিনীত নোলক নামের একটি ছবি । সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদের দিনে দুটি হলেই ভাল দর্শক সমাগম হলেও আজ কিছুটা কম দর্শক সমাগম ।
এদিকে স্থানীয় সংস্কৃতিমনারা মনে করছেন, সিনেমা জগতকে টিকিয়ে রাখতে হলে দর্শককে হলমুখী করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে প্রতি উপজেলায় সরকারিভাবে অন্তত একটি করে অত্যাধুনিক সিনেমা হল স্থাপন করে স্বপরিবারে দেখার মতো ভালো মানের ও উন্নয়নমূলক শিক্ষিণীয় সিনেমা প্রদর্শন করা জরুরি।