শেরপুরে বিসিবি’র আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী চ্যাম্পিয়ন ও জি.কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় রানারআপ হয়েছে। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় লো-স্কোরিং ম্যাচে সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী ৯ রানে জি.কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে শিরোপা ঘরে তুলে নেয়। এনিয়ে পর পর তিন বার কোচ সনিকের নেতৃত্বে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলো সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের ‘ম্যান অব দি ম্যাচ’ পুরষ্কার লাভ করেন ভিক্টোরিয়ার বোলার রিজভী আহমেদ রিজন।
সকালে টস জিতে জি.কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অধিনায়ক সোহান সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমীকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায়। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে প্রথম ২ ওভারে ব্যাটসম্যানরা কোন রান নেওয়ার আগেই ২ উইকেট হারায় ভিক্টোরিয়ার। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এনামুল এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলার চেষ্টার করলেও নিয়মিত অপর প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩ বার জীবন পেয়ে এনামুল ১ ছক্কা ৩ চারে ১৯ রান এবং ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বাবু একবার জীবন পেয়ে ১৭ রান করলেও আর কোন ব্যাটসম্যান ২ অংকের ঘর ছুঁতে পারেননি। অতিরিক্ত ১৯ রানের ওপর ভর করে ২০ দশমকি ২ ওভারে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয় সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী। জি.কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষে বোলার সাব্বির ২ ওভার বল করে মাত্র ১ রান খরচায় নেন মুল্যবান ৪ উইকেট। মুন্না ৬ ওভার বল করে ২৩ রানে দখল করেন ২ উইকেট। স্বল্প পূঁজি নিয়েও সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী প্রাণপণে লড়াই করে যায় এবং বোলারদের দাপটে ৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। জয়ের জন্য ৭৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে জি.কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ও শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। ভিক্টোরিয়ার স্ট্রাইক বোলার শহীদ ও ইমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে প্রথম ৯ ওভারেই জি.কে মুল্যবান চারটি উইকেট হারিয়ে বসে। পরিবর্তিত বোলার হিসেবে রিজভী আহমেদ রিজনের অফ ব্রেক বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলে জি.কে পাইলটের ব্যাটসম্যানরা। যে কারণে পঞ্চম উইকেটে নামা ব্যাটসম্যান রমজান আলীর ১২ রান এবং মিস্টার এক্সট্রা ২০ রান ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। জি.কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ৩৩ দশমকি ৫ ওভারে ৬৭ রানেই সবকটি উইকেট হারালে ৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভিক্টোরিয়া একাডেমীর খেলোয়াড়রা। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে রিজভী আহমেদ রিজন নেন ১০ ওভার বল করে ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দি ফাইনালের পুরষ্কার লাভ করেন। শহীদ নেন ২৫ রানে ৩ উইকেট, ইমানও ২ ইউকেট নেন।
খেলা শেষে শেরপুর কালেক্টরেটের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম বিজয়ী ও বিজিত দলের হাতে পুরষ্কারের ট্রফি তুলে দেন। এসময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হাকিম বাবুল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব মো. জিন্নত আলী, দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শেরপুরে এবার বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেটে জেলার ৮টি স্কুল-মাদ্রাসা দল দু’টি গ্রুপে ভাগ হয়ে রাউন্ড রবীন লীগ ভিত্তিতে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে। দুই গ্রæপের সেরা দুই দল ফাইনালে মোকাবেলা করে।