কৃষকের বাড়ী হবে খামারবাড়ী। বসতবাড়ীতে গবাদিপশু-হাঁসমুরগী পালন, বাড়ীর আঙিনায় বিষমুক্ত সব্জী চাষ, ফলমুলের গাছ লাগানো, পতিত পুকুর-জলাশয়ে মাছ চাষ, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসল আবাদের মাধ্যমে কৃষক পরিবারের পুষ্টি যোগানের সাথে সাথে ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এ লক্ষ্যে কৃষক প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরনে শেরপুরে বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে কৃষক মাঠ স্কুল। সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এসব কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালনা করছে।
৩ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার ধানুরপাড়া কৃষক মাঠ স্কুলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ প্রধান অতিথি এবং আইএফএমসি প্রকল্পের আঞ্চলিক সমন্বয়কারি ড. জগদীশ চন্দ্র পন্ডিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চরপক্ষিমারিী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে উপ-পরিচালক আশরাফ উদ্দিন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা, কৃষক বাবুল মিয়া, কৃষানী বিমলা ভান্ডারি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ওই কৃষক মাঠ স্কুলের সদস্যরা প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের আলোকে কৃষি বিষয়ক ৬টি প্রদর্শনী স্টল স্থাপন করেন। অতিথি এবং এলাকার লোকজন এসব স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং নানা প্রশ্ন করে নিজেরা সে সম্পর্কে অবহিত হন। এসময় মাঠ স্কুলের সদস্যরা ‘কীটনাশক ব্যবহারের কুফল’ সম্পর্কিত একটি নাটিকা ও ‘বোকার ফসল পোকায় খায়’ শীর্ষক একটি গান পরিবেশন করেন। পরে অতিথিবৃন্দ ওই এলাকায় কৃষক মাঠ স্কুলের সদস্যদের গড়ে তোলা একটি কৃষি উন্নয়ন কাব উদ্বোধন করেন।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আইএফএমসি প্রকল্পের আওতায় জেলায় প্রতিবছর খরিপ-১ ও রবি মৌসুমে ৩০টি করে ৬০টি কৃষক মাঠ স্কুল স্থাপন করা হয়। এসব মাঠ স্কুলে সপ্তাহে দুই দিন করে ৬ মাসে ৪৭টি সেশনের মাধ্যমে ৫০জন কৃষক-কৃষাণীকে কৃষি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
শেরপুর টাইমস/ বা.স