বৃহস্পতিবার জেলার আটটি বিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও যুক্তিতর্কে মুখরিত ছিল শেরপুর পুলিশ লাইন একাডেমী ফর ক্রিয়েটিভ এডুকেশন অডিটরিয়াম। যুক্তিতর্কে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলকে হারিয়ে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে শেরপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় চ্যাম্পিয়ন দলের দলনেতা ইসাবেলা দুগার রেশমী। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অন্য দলগুলো হলো- শেরপুর সরকারী ভিক্টোরিয়া একাডেমী, আইডিয়াল প্রিপারেটরী এন্ড হাইস্কুল, শেরপুর পুলিশ লাইন একাডেমী ফর ক্রিয়েটিভ এডুকেশন, , নবারুণ পাবলিক স্কুল, মুকুল একাডেমী ও নালিতাবাড়ী তারাগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।
সকালে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, সমকাল প্রতিবছর বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করে সমাজ দর্পণের কাজ করছে। তিনি বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে বিতর্ক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে যুক্তিবাদী সমাজ বিনির্মাণে সমকাল অনন্য ভ’মিকা রেখেছে। জয়তু সমকাল।
সমকাল জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে প্রারম্ভিক আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম সরকার, জেলা সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুফ হোসেন মঞ্জু, সরকারী কলেজ শাখার সভাপতি পলাশ আহমেদ প্রমূখ। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন জেলা ডিবেটিং সোসাইটির সম্পাদক এমদাদুল হক রিপন।
প্রতিযোগিতার সমাপনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব কুমার সরকার বলেন, বিতর্ক চর্চার, যুক্তি চর্চার কোন বিকল্প নেই। আমরা এমন একটি সমাজ চাই যেখানে আমরা বলতে পারি জোরের যুক্তি নয়, যুক্তির জোর চাই। তিনি বলেন, সমকাল আমাদের ৫ বছর ধরে সে পথ দেখাচ্ছে। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিন, প্লেস অধ্যক্ষ ড. বিভ’তি ভ’ষণ মিত্র, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম আধার, সম্পাদক সাবিহা জাহান শাপলা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাদিউজ্জামান সাদী প্রমূখ।
বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন শেরপুর সরকারী কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া শিবু, জেলা উদীচির সভাপতি প্রভাষক তপন সারোয়ার, প্রভাষক সুশান্ত কুমার রায় যিশু, প্রাবন্ধিক হাসান শরাফত।
