শেরপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটি আহত অবস্থায় বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সে সদর উপজেলার রৌহা কলাপাড়া গ্রামের এক দরিদ্র রিকশাচালকের মেয়ে এবং স্থানীয় এইচএম মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২ সেপ্টেম্বর রোববার রাত আটটার দিকে রৌহা কলাপাড়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রীটির বক্তব্য ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রৌহা কলাপাড়া গ্রামের বখাটে যুবক শাকিল (২০), মাসুদ (১৮) ও শিপন (২০) প্রায়ই স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ছাত্রীটিকে উত্যক্ত করতেন। শাকিল ছাত্রীটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রীটি তা প্রত্যাখান করায় এরই জেরধরে এবং প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সুযোগ খুঁজছিল। এক পর্যায়ে রোববার রাত আটটার দিকে ছাত্রীটি রৌহা কলাপাড়া গ্রামের এক প্রতিবেশী ছাত্রীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ওই তিন যুবক তার পথরোধ করেন এবং মুখে কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে তাকে (ছাত্রী) পার্শ¦বর্তী একটি বাঁশঝাড়ের নিচে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রীটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এতে ছাত্রীটি গুরুতর আহত হয়।
এক পর্যায়ে ছাত্রীটির ডাক-চিৎকারে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় ওই তিন বখাটে যুবক এলাকাবাসীর উপস্থিত টের পেয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর আত্মীয়-স্বজন ছাত্রীটিকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করেন। পরে ৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। বর্তমানে ছাত্রীটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত যুবকদের আটকের চেষ্টা চলছে।