শেরপুরে শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারন করার অভিযোগে মুন্না খাঁন (২৬) নামে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের আব্দুস সামাদ খানের ছেলে। ধর্ষক মুন্নাকে সোমবার (১২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক মুন্না খানের শ্বশুর বাড়ী ফরিদপুর জেলায়। গত ৭ অক্টোবর তাঁর স্ত্রীর সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়। বোনের দেখাশোনা করার জন্য মুন্না তাঁর শ্যালিকাকে (১৯) শেরপুর আসতে বলেন। শ্যালিকা শেরপুর এসে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী গ্রামের দুলা ভাইয়ের বাড়ীতে উঠেন। দু’দিন থাকার পর তিনি ফরিদপুরে চলে যেতে চাইলে মুন্না তাঁকে ঢাকা পর্যন্ত নিয়ে ছেড়ে দেবেন বলে রোববার সকালে গাড়ীতে করে শেরপুর শহরের রাজবলভপুরের বাসায় নিয়ে আসেন।
ভিকটিমের অভিযোগ, এদিন সে সকাল থেকে কয়েক দফায় তাঁকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এসময় মুন্না হুমকি দেয় ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। নিরুপায় হয়ে এদিন রাতে শ্যালিকা ৯৯৯ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ শহরের রাজবলভপুরের বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষক মুন্নাকে আটক করে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল আলম ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাঁকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।